নুর হোসেনের সম্পদ অনুসন্ধানে, দুদক
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেন ও তার স্ত্রী রুমা আক্তারের সম্পদের বিবরণী যাচাইয়ে অসুন্ধান কাজ শুরু করেছেন দুদকের টিম।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জে সম্পদ অনুসন্ধান করতে গঠিত দুদকের টিম ওই অসুন্ধান কাজ শুরু করে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী
ও সহকারী পরিচালক শফিউল্লাহ এর নেতৃত্বে অনুসন্ধান শুরু হয়।
অনুসন্ধানের সময়ে নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা আক্তারের একটি ভবনের সন্ধান পায় দুদকের টিম। বিবরণীতে ওই ভবনের বিষয়টি উল্লেখ ছিল না জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে
তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে রাজি হননি অনুসন্ধান টিমের সদস্যরা। তারা জানান, তারা অনুসন্ধান করছেন। যাচাই-বাছাই শেষে বিষয়গুলো জানানো হবে।
দুদকের টিমটি প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে অবস্থিত নূর হোসেনের মালিকানাধীন হাজী বদরউদ্দিন মার্কেটটি পরিদর্শন করেন। পরে তারা শিমরাইল টেকপাড়ার নূর
হোসনের বাড়ি, নয়াআটির রসুলবাগের নূর হোসেনের স্ত্রীর নামে করা বাড়ি, মুক্তিনগর কিসমত মার্কেট এলাকায় তার বড় ভাই নূর ছালামের বাড়ি, রসুলবাগ এলাকায় তার
ছোট ভাই মিয়া মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের বাড়ি ও নূর হোসেনের মালিকানাধীন পরিত্যক্তভাবে পড়ে থাকা এবিএস পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন সম্পত্তি পরিদর্শন করেন।
এ সময় নূর হোসেনের ছোট ভাই নুরুজ্জামান জজের নামে করা ৬ তলা বাড়িতে দুদকের টিমকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দুদকের টিম দেখে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী মূল
ফটকে তালাবদ্ধ করে দেন। পরে দুপুর ২টার দিকে দুদকের টিমটি সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা ত্যাগ করেন।
তবে অনুসন্ধানের সময়ে নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা আক্তার বাড়িতে থাকলেও তিনি দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে যান নূর হোসেন। গত বছরের ১২ নভেম্বর দেশে ফিরিয়ে আনা হয়
তাকে। পরে ১৩ ডিসেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালের কাছে সম্পদের হিসাব জমা দেন নূর হোসেন। যেখানে নূর হোসেন এক কোটি
৭৮ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৯ মে অনুসন্ধান শুরু করার পর নূর হোসেনের নামে-বেনামে প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুদক।
প্রতিক্ষণ/এডি/ফর